আরও দেখুন
শুধু ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সময় চার্টে আপসাইড গ্যাপ টু ক্রোউস রিভার্সাল প্যাটার্ন আবির্ভূত হয়। এই ক্যান্ডেলস্টিক প্যাটার্নে দ্বিতীয় ছোট কালো ক্যান্ডেল (তৃতীয় দিন) এবং এর পূর্বের প্রথম ক্যান্ডেলস্টিক বডির মধ্যে একটি গ্যাপ থাকে। আপনার কল্পনাশক্তি ভালো হলে আপনি এর মধ্যে দুইটি কাক দেখতে পাবেন। একারণেই এর নাম এরূপ হয়েছে। এই প্যাটার্ন বিয়ারিশ।
যখন দ্বিতীয় কালো ক্যান্ডেলের ওপেন প্রাইস প্রথম কালো ক্যান্ডেলের ওপেন প্রাইসের উপরে থাকে এবং ক্লোজিং প্রাইস প্রথম কালো ক্যান্ডেলের ক্লোজিং প্রাইসের নিচে থাকে তখন এই প্যাটার্ন তৈরি হয়। সাদা এবং কালো ক্যান্ডেলের মধ্যে গ্যাপ থাকে। তৃতীয় ক্যান্ডেল দ্বিতীয় ক্যান্ডেলের উপরে ওপেন হয় এবং তাকে আবৃত করে।
বিয়ারিশ কাঠামোর মতই, আপসাইড গ্যাপ টু ক্রোউস একটি সাদা ক্যান্ডেল তৈরি করে যাত্রা শুরু করে। পরের দিন, একটি গ্যাপ রেখে লেনদেন শুরু হয়, কিন্তু মূল্য বৃদ্ধি পায় না এবং ওপেন লেভেলের নিচে ক্লোজ হয়, ফলে কালো ক্যান্ডেল তৈরি হয়।
পরের দিন আরও উপরে ট্রেডিং সেশন শুরু হয়, এরপর মূল্য কমতে থাকে এবং পূর্বের ক্লোজ লেভেলের নিচে ক্লোজ হয়। তখনও প্রথম সাদা ক্যান্ডেলের ক্লোজ প্রাইসের উপরের এর ক্লোজ প্রাইস থাকে। এই সময় বাজারের বুলিশ পরিস্থিতি মিলিয়ে যায়।
আপসাইড গ্যাপ টু ক্রোউস প্যাটার্ন অনেকটা সহজ। মূল্য যদি পরের দিন সাদা ক্যান্ডেলের মধ্যে ক্লোজ প্রাইস তৈরি করে তাহলে টু ক্রোউস প্যাটার্ন তৈরি হয়।
এই প্যাটার্ন একক ক্যান্ডেলের মধ্যে নিয়ে আসা যায়, যার সাদা ক্যান্ডেলস্টিক বডি প্রথম দিনের সাদা ক্যান্ডেলস্টিক বডি থেকে বড়, অনেকটা ঊর্ধ্বমুখী ছায়ার মত।
এই কাঠামোর উপর ভিত্তি করে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করার আগে নিশ্চিত হোন যে, প্যাটার্ন সম্পূর্ণ বিয়ারিশ নয়।
আপসাইড গ্যাপ টু ক্রোউস এর প্যাটার্ন ম্যাট হোল্ড প্যাটার্ন থেকে ভিন্ন, কারণ তৃতীয় দিনের কালো ক্যান্ডেলস্টিক দ্বিতীয় দিনের ওপেন প্রাইসের নিচ থেকে শুরু হয় না এবং প্রথম দিনের বডি থেকে উপরে অবস্থান করে না। তৃতীয় দিনের ঘটনার উপর ভিত্তি করে প্রথম দুই দিনের কাঠামো ইভিনিং স্টার হতে পারে।