empty
 
 
22.01.2025 08:19 AM
২২ জানুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবার, EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্য উভয় দিকেই উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট প্রদর্শন করে। দিনের প্রথমার্ধে একটি উল্লেখযোগ্য দরপতন ঘটে, যা দিনের দ্বিতীয়ার্ধে শক্তিশালী বৃদ্ধিতে পরিণত হয়। এই দরপতন বা বৃদ্ধির জন্য কোনো নির্দিষ্ট সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ ছিল না। ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনও সাহসী বিবৃতি দিয়ে যাচ্ছেন; তবে, আগেই উল্লেখ করা হয়েছে, মার্কেটের ট্রেডাররা শীঘ্রই এই বাস্তবতায় অভ্যস্ত হয়ে যাবে যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রতিদিন অসংখ্য ঘোষণা দেন, যার বেশিরভাগই বাস্তবায়ন হয় না। সুতরাং, আমরা মনে করি যে মার্কেট শীঘ্রই স্থিতিশীল হবে এবং ট্রেডাররা ট্রাম্পের ঘোষণাগুলোর প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখানো বন্ধ করবে। বর্তমানে, একটি ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন চলছে, যা একটি ট্রেন্ডলাইনের দ্বারা সমর্থিত। এই কারেকশনের সমাপ্তি নির্ধারণে ট্রেডাররা এই ট্রেন্ডলাইন ব্যবহার করতে পারেন। এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে সামগ্রিকভাবে এখনও এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতা বিরাজ করছে।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

মঙ্গলবারের ৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, বেশ কয়েকটি চমৎকার ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়। প্রথমত, মূল্য 1.0359 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে, তারপর 1.0334-1.0359 জোন থেকে রিবাউন্ড করে এবং অবশেষে 1.0433 লেভেলে পৌঁছায়। নতুন ট্রেডারদের জন্য প্রথম সিগন্যালটি সম্ভবত লাভজনক ছিল না, তবে এটি লোকসানের কারণও হয়নি; কারণ এটি রাতের বেলায় গঠিত হয়েছিল। দ্বিতীয় সিগন্যাল থেকে প্রায় ৫০-৬০ পিপস লাভ হয়। 1.0334-1.0359 এরিয়া থেকে রিবাউন্ডের ভিত্তিতে একটি শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে, তবে এই সিগন্যালটিও মূলত রাতের বেলায় গঠিত হয়েছিল।

বুধবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, সামগ্রিকভাবে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতায় বিরাজ করছে, তবে স্বল্পমেয়াদে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমরা আশা করছি মধ্যমেয়াদে ইউরোর দরপতন পুনরায় শুরু হবে এবং ইউরোর মূল্য ডলারের সাথে প্যারিটি লেভেলের দিকে এগিয়ে যাবে। বর্তমান অর্থনৈতিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এখনও মার্কিন ডলারকে সমর্থন করছে। এই ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন একটি ট্রেন্ডলাইনের দ্বারা সমর্থিত, এবং মূল্য এই ট্রেন্ডলাইনের নিচে নেমে গেলে সেটি কারেকশনের সমাপ্তি নির্দেশ করবে।

বুধবার এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সোমবার এবং মঙ্গলবারের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হতে পারে, কারণ ডলার দরপতনের কিছু অংশ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করতে পারে। ট্রেন্ডলাইনটি ট্রেডারদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে।

৫-মিনিটের টাইমফ্রেমে, নিম্নলিখিত লেভেলগুলো বিবেচনা করা উচিত: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, এবং 1.0845-1.0851। বুধবার ক্রিস্টিন লাগার্ড ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভাষণ দেবেন; তবে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি ট্রেডারদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য মনোযোগ আকর্ষণ করবে বলে মনে হয় না। এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো নির্ধারিত ইভেন্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার কথা নেই।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.