empty
 
 
21.01.2025 08:41 AM
২১ জানুয়ারি কীভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ ও ট্রেডিংয়ের বিশ্লেষণ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ

EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

This image is no longer relevant

সোমবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের তীব্র এবং শক্তিশালী বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। মার্কেটে ট্রেডিং শুরু হওয়ার পরপরই ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা দৈনিক এবং সাপ্তাহিক ট্রেডিংয়ের সূচনা চিহ্নিত করে। এই মুভমেন্টটি নির্দেশ করে যে ডলারের দরপতন কোনো নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক কারণের সাথে সম্পর্কিত ছিল না। দিনের একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ছিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণ, যা কোনো ধরনের ঘটনা ছাড়াই সম্পন্ন হয়। ডলারের দরপতন স্বাভাবিকভাবে এই ইভেন্টের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে। যদিও ট্রাম্প কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন, তবে এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে তার ভাষণের অনেক আগেই বা শপথ গ্রহণের পূর্বেই ডলারের দরপতন শুরু হয়েছিল। এই ধরনের পরিস্থিতি মার্কেটের ট্রেডারদের অপ্রত্যাশিত আবেগকে প্রতিফলিত করে। আমরা মনে করি যে এ ধরনের অনিয়মিত মুভমেন্ট এড়িয়ে যাওয়া উচিত। গতকাল বেশ কিছু শক্তিশালী ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল, তবে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট চলাকালীন সময়ে ট্রেডিং করা হলে সাধারণত অনিয়মিতভাবে মূল্যের পরিবর্তন, আকস্মিক বিপরীতমুখী মুভমেন্ট, এবং উচ্চ মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

This image is no longer relevant

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে সোমবার, বেশ কয়েকটি শক্তিশালী সিগন্যাল গঠিত হয়। রাতের বেলা মূল্য 1.0269-1.0277 রেঞ্জ থেকে রিবাউন্ড করে এবং দিনের অর্ধেক সময় ধরে ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে মার্কিন সেশনে 1.0433 লেভেলে পৌঁছায়। এই সিগন্যালটির উপর ভিত্তি করে রাতেই ট্রেড করা যেত বা ইউরোপীয় সেশনে "ট্রেন ধরার" মতো করে ট্রেডে এন্ট্রি করা যেত। ট্রেডাররা বিভিন্ন লেভেলে পজিশন ওপেন এবং লাভ করার চমৎকার সুযোগ পেয়েছিলেন, যেমন: 1.0433 লেভেলে রিবাউন্ড, 1.0359 লেভেলে আরেকটি রিবাউন্ড, এবং একই লেভেল থেকে একাধিকবার পুনরায় রিবাউন্ড হয়েছে।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের কৌশল:

ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আমরা মনে করি যে মধ্যমেয়াদে ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকবে, এবং ডলারের সাথে পারিটি লেভেলে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি দূরে নয়। আগের মতোই, ইউরোর আরও দরপতনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, কারণ মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারের পক্ষে কাজ করছে। বর্তমানে, একটি কারেকশন চলছে যা ট্রেন্ডলাইনের দ্বারা সমর্থিত। মূল্য এই ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করলে সেটি কারেকশনের সমাপ্তি নির্দেশ করবে।

সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট অনেক দুর্বল হতে পারে, এবং ডলার গতকালের দরপতন পুনরুদ্ধার করতে শুরু করতে পারে। তবে, মূল্যের দিকনির্দেশনার জন্য এখন আমাদের কাছে একটি ট্রেন্ডলাইন রয়েছে।

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচনাযোগ্য লেভেলগুলো হলো: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, এবং 1.0845-1.0851।

মঙ্গলবার, ইউরোজোনে ZEW সূচক প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেতে পারে, এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.