empty
 
 
15.01.2025 08:17 AM
১৫ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বুধবার খুব অল্প সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে সেগুলোর প্রায় সবগুলোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাজ্যে ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদিও ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এখনও মুদ্রানীতি উল্লেখযোগ্যভাবে নমনীয় করেনি, এই প্রতিবেদনের ফলাফল তাদের অবস্থানের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে, মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রেও মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যদি দেশটির কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) ডিসেম্বর মাসে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়, তাহলে এটি 2025 সালে ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি নমনীয় করার সম্ভাবনাকে হ্রাস করবে, যা মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

এছাড়াও, জার্মানিতে বার্ষিক জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আশা করা হচ্ছে যে দেশটির জিডিপি 0.2% হ্রাস পাবে, এবং এই ধরনের ফলাফল ইউরোকে সমর্থন প্রদান করবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নে, শিল্প উৎপাদন সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা সাধারণত প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল ফলাফল প্রদর্শন করতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

আজকের গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টগুলোর মধ্যে, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রতিনিধি ফিলিপ লেন এবং লুইস দে গুইন্ডোসের বক্তব্য বেশ উল্লেখযোগ্য। যদিও তাদের মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, এতে ইসিবির মুদ্রানীতি সংক্রান্ত অবস্থানের পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে, যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তা অস্টান গুলসবি, নিল কাশকারি, এবং থমাস বার্কিন বক্তব্য দেবেন। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি মুদ্রানীতি সম্পর্কে নতুন অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করতে পারে, যার ফলে মার্কিন ডলার ট্রেডিংয়ের জন্য নতুন কৌশল উদ্ভাবনের কারণ হতে পারে।

উপসংহার:

সপ্তাহের তৃতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্টের প্রত্যাশা করা যেতে পারে। এই মুভমেন্টগুলো যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং জার্মানির জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফল উপর নির্ভর করবে। বর্তমানে, মনে হচ্ছে যে ইউরো এবং পাউন্ড উভয়েরই দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে, উল্লিখিত প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল মার্কিন ডলারের মূল্যও হ্রাস ঘটাতে পারে। পুরো দিনজুড়ে, উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের দিক বেশ কয়েকবার পরিবর্তিত হতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.