আরও দেখুন
বিকেলের দিকে, যখন MACD সূচকটি শূন্যের উল্লেখযোগ্য উপরে উঠে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমে 1.2145 এর লেভেল টেস্ট করে, যা পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। ফলে, আমি এই পেয়ার ক্রয় করা থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিছুক্ষণ পর, 1.2145 লেভেলের আরেকটি টেস্ট হয়, সেসময় MACD সূচকটি ওভারবট জোনে ছিল, যা আমাকে এই পেয়ার বিক্রয়ের জন্য পরিকল্পনা #2 কার্যকর করতে প্ররোচিত করে। দুর্ভাগ্যবশত, এর পরে কোনও উল্লেখযোগ্য নিম্নমুখী মুভমেন্ট দেখা যায়নি, যার ফলে লোকসান হয়।
নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক টিমের সদস্যরা ধীরে ধীরে শুল্ক বৃদ্ধির পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন এমন গুজবের কারণে পাউন্ডের মূল্য দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এই ধীরে ধীরে শুল্ক বৃদ্ধি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার সময় দেবে এবং আকস্মিক অর্থনৈতিক ধাক্কার ঝুঁকি হ্রাস করবে। অর্থনীতিবিদরা উল্লেখ করেন যে এই পদ্ধতি যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি সীমিত করতে সহায়তা করতে পারে, যা ফেডারেল রিজার্ভকে সুদের হার কমানোর বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ দিতে পারে।
আজ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ফিন্যান্সিয়াল স্টেবিলিটির ডেপুটি গভর্নর সারাহ ব্রিডেন বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে তিনি যুক্তরাজ্যের আর্থিক ব্যবস্থার বর্তমান অবস্থা এবং এর ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিবর্তন এবং অস্থিরতার আলোকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কীভাবে স্থিতিশীলতা বজায় রাখে এবং অর্থবাজারকে সম্ভাব্য ঝুঁকি থেকে সুরক্ষিত রাখে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিডেনের বক্তব্যে মুদ্রানীতি, মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হারের পরিবর্তন সম্পর্কিত বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে, বিনিয়োগকারী এবং ট্রেডারদের জন্য তার মন্তব্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ হবে। তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের পদক্ষেপগুলো কীভাবে অর্থনীতিকে প্রভাবিত করে এবং দেশের আর্থিক পরিস্থিতির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পরিকল্পিত উদ্যোগ সম্পর্কে তার অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন আর্থিক অবকাঠামোর শক্তিশালীকরণ এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পরিকল্পিত নতুন উদ্যোগগুলো নিয়ে আলোচনাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে।
আমার দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
পরিকল্পনা #1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2291-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2223-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2291-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। আজ শুধুমাত্র কারেকশনের অংশ হিসেবে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পেতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2192-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2223 এবং 1.2291-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2192-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2122 -এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2223-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2192 এবং 1.2122-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।