আরও দেখুন
মঙ্গলবারে সীমিত সংখ্যক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। একমাত্র উল্লেখযোগ্য প্রতিবেদন হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশিত হবে, তবে এটি ট্রেডারদের জন্য খুব বেশি গুরুত্ব বহন করবে না বলে মনে হচ্ছে। এর মূল কারণ হলো, বুধবার ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা স্বল্পমেয়াদে ডলারের মূল্যের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। এটি উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে, ফেডারেল রিজার্ভের মুদ্রানীতি হলো মার্কিন ডলারের প্রধান চালিকা শক্তি, এবং মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন ফেডের নীতিগত সিদ্ধান্তগুলোর উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে।
আজকের তালিকাভুক্ত উল্লেখযোগ্য ইভেন্টগুলোর মধ্যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ফিলিপ লেন, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের সারাহ ব্রিডেন, এবং ফেডের প্রতিনিধি রজার শমিড ও জন উইলিয়ামসের বক্তৃতা রয়েছে। তবে, এই বক্তৃতাগুলোর কোনোটিই বর্তমানে ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে না।
সোমবার, ইসিবির বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তবে সেগুলো থেকে কোনো নতুন দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়নি। কিছু সদস্য চলমান আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন, অন্যদিকে কিছু সদস্য সম্ভাব্য মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তা সত্ত্বেও, উল্লেখযোগ্য কোনো কিছুই ঘোষণা করা হয়নি। ফেডের প্রতিনিধিদের ক্ষেত্রে, বুধবারের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের পর উল্লেখযোগ্য মন্তব্য়ের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যেখানে ডিসেম্বরের মুদ্রাস্ফীতি পরিসংখ্যান সম্পর্কে জানা যাবে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ের, উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট শান্ত এবং পরিমিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, সোমবারের ট্রেডিং কার্যক্রমে দেখা গিয়েছে যে মার্কেটের ট্রেডাররা অত্যন্ত সক্রিয় রয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ কোন প্রতিবেদনের প্রকাশনা ছাড়াই ট্রেডিং কার্যক্রম দেখা যেতে পারে। যেহেতু আজ বড় কোনো ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া উচিত।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।