আরও দেখুন
সোমবার, অবশেষে EUR/USD কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশনের লক্ষণ শুরু হয়েছে। তবে, ইউরোর আরও একটি দরপতনের মধ্য দিয়ে দৈনিন ট্রেডিং শুরু হয়েছিল, যা কিছুটা অপ্রত্যাশিত ছিল। যদিও এই দরপতন খুব বেশি ছিল না, এটি ইউরোপীয় মুদ্রার আরও একটি দুর্বলতা প্রদর্শন করেছিল। দিনের দ্বিতীয়ার্ধে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট শুরু হয়, তবে প্রাথমিক রেজিস্ট্যান্স লেভেল এই মুভমেন্টকে থামিয়ে দেয়।
বিগত চার মাস ধরে ইউরোর মূল্য ধারাবাহিকভাবে দরপতনের শিকার হচ্ছে এবং মূল্য ইতোমধ্যেই 2024-এর জন্য নির্ধারিত প্রধান টার্গেট এরিয়ায় পৌঁছেছে। তাই এখন একটি কারেকশন শুরু হওয়া যৌক্তিক মনে হচ্ছে। তবে এটি পুরোপুরিভাবে বাজার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। যদি ইউরোর কোনো ক্রেতা না থাকে, তবে কারেকশন শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নেই, যদিও এটি প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। এটি উল্লেখযোগ্য যে, গতকাল এই পেয়ারের মূল্যের উত্থান বা দরপতনের জন্য কোনো স্থানীয় কারণ ছিল না, কারণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক ক্যালেন্ডার প্রায় ফাঁকা ছিল।
সোমবার 5-মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রথমে, মূল্য 1.0223 লেভেলের নিচে নেমে যায় এবং পরে নিচে থেকে রিবাউন্ড করে। উভয় ক্ষেত্রেই এই পেয়ারের মূল্য নিকটতম টার্গেট লেভেলে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছিল, যার অর্থ উভয় ট্রেডই স্টপ লস ব্যবহার করে ব্রেকইভেনে বন্ধ করা যেত। সোমবার রাতে, কোনো সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই এই পেয়ারের মূল্য হঠাৎ বেড়ে যায়, তবে মূল্য 1.0269-1.0277 রেঞ্জ থেকে রিবাউন্ড করে। এটি নির্দেশ করে যে আজ ইউরোর আরও একবার দরপতন হতে পারে।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের এখনও নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করছে। আমরা মনে করি যে মাঝারি মেয়াদে ইউরোর দরপতন পুনরায় শুরু হয়েছে এবং ডলারের সাথে প্যারিটির লেভেলে পৌঁছানোর জন্য খুব বেশি দূরত্ব বাকি নেই। ইউরোর আরও দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে কারণ মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট মার্কিন ডলারকে সমর্থন করে চলেছে।
মঙ্গলবার তুলনামূলকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের শান্ত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, তবে এটি মনে রাখা জরুরি যে নিম্নমুখী প্রবণতা, বিশেষত গত তিন মাসের স্থানীয় নিম্নমুখী প্রবণতা, এখনও অটুট রয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও এই পেয়ার বিক্রি করে চলেছে, এমনকি মার্কিন শ্রমবাজার এবং বেকারত্ব সংক্রান্ত উল্লেখযোগ্যপ্রতিবেদনও ছাড়াও এই পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।
5-মিনিটের টাইমফ্রেমে নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ লেভেলগুলো বিবেচনা করুন: 1.0156, 1.0221, 1.0269-1.0277, 1.0334-1.0359, 1.0433-1.0451, 1.0526, 1.0596, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, এবং 1.0845-1.0851। মঙ্গলবারের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হলো যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদক মূল্য সূচকের (PPI) প্রকাশনা। যদিও আমরা এই প্রতিবেদনটিকে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি না, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা বর্তমানে এমন দিনেও সক্রিয়ভাবে ট্রেড করতে প্রস্তুত রয়েছে, যেদিন নির্ধারিত কোনো ইভেন্ট নেই।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।