empty
 
 
09.01.2025 08:28 AM
৯ জানুয়ারি কোন ইভেন্টগুলোর উপর মনোযোগ দেওয়া উচিত? নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডমেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার তুলনামূলকভাবে অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে, তবে এগুলোর মধ্যে কোনটিই বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ নয়। জার্মানিতে সকালে শিল্প উৎপাদন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার পর ইউরোজোনের খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। গতকাল ইউরোর দরপতন সম্ভবত জার্মানির খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদনের ফলাফল দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, যখন সোমবার এই পেয়ারের মূল্যের তীব্র বৃদ্ধি সম্ভবত জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল। ফলে, আজকের দুটি প্রতিবেদন ইউরোর মূল্যের মুভমেন্টকে ঊর্ধ্বমুখী বা নিম্নমুখী যেকোনো দিকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে, আমরা মনে করি যে ইউরো এবং পাউন্ডের সাম্প্রতিক দরপতন—এবং সোমবারের দর বৃদ্ধি—বেশিরভাগই টেকনিক্যাল কারণ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে, সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ দ্বারা নয়। আজ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে সম্পূর্ণরূপে গুরুত্বপূর্ণ কিছুই নেই।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

This image is no longer relevant

বৃহস্পতিবার, ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি—থমাস বারকিন, প্যাট্রিক হার্কার, এবং মিশেল বোম্যান—বক্তব্য দেবেন বলে নির্ধারিত রয়েছে। তবে, এই সময়ে তারা কোন গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, এবং ফেডের অবস্থান পরিবর্তনের জন্য নতুন প্রতিবেদনের প্রয়োজন। শুক্রবার ননফার্ম পেরোল এবং বেকারত্বের হার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর, যদি এই প্রতিবেদনগুলো উল্লেখযোগ্য বা অপ্রত্যাশিত ফলাফল প্রদান করে, তবে আমরা ফেডের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে নতুন মন্তব্যের আশা করতে পারি।

উপসংহার:

সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ের আগের দিন, ট্রেডারদের ইউরো এবং পাউন্ডের আরও দরপতন প্রত্যাশা করা উচিত। সাম্প্রতিক সময়ে, উভয় মুদ্রার মূল্যই বৃদ্ধি পাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু এই প্রচেষ্টা ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী ISM এবং JOLTS প্রতিবেদন দ্বারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তবে, আজকের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না থাকায়, দিনের বেলা হালকা ফ্ল্যাট প্রবণতা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। সুস্পষ্ট কৌশল ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।

এখন কথা বলতে পারবেন না?
আপনার প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন চ্যাট.