আরও দেখুন
শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত রয়েছে। এটি মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে, ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের ফলাফল বুধবার সন্ধ্যায় ঘোষণা করা হয়েছিল, যার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল প্রকাশিত হয়। উভয় বৈঠকের ফলাফলই ব্রিটিশ কারেন্সির জন্য স্পষ্টতই নেতিবাচক ছিল। বলা যায় যে, পাউন্ড কিছুটা ভাগ্যবান ছিল, কারণ এটির মূল্য দিনের প্রথমার্ধে কিছুটা বৃদ্ধি প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছিল, যদিও এর জন্য কোন দৃশ্যমান যৌক্তিক কারণ ছিল না। তবে, আমরা পূর্বে বারবার উল্লেখ করেছি যে, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য উল্লেখযোগ্য প্রতিরোধ দেখালেও, এটি দীর্ঘমেয়াদে এককভাবে নেতিবাচক মৌলিক প্রেক্ষাপটের বিরুদ্ধে টিকে থাকতে পারবে না। পাউন্ডের মূল্য এখনও অতিরিক্ত বেশি এবং অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল। গত দুই বছরে, মার্কেটের ট্রেডাররা কেবল ফেডের আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের উপরই মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে। যদিও ব্যাংক অব ইংল্যান্ড হার কমানোর জন্য তাড়াহুড়ো করছে না, যা ব্রিটিশ কারেন্সিকে কিছুটা সমর্থন যোগাচ্ছে, আমরা মনে করি যে, কার্যত যেকোনো পরিস্থিতিতে এই পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকবে। তবে, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, নিম্নমুখী প্রবণতা বিরাজ করলেও প্রতিদিন পাউন্ডের পতন হবে বিষয়টি এমন নয়।
বৃহস্পতিবার 5-মিনিট টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বিশেষভাবে বিভ্রান্তিকর এবং অযৌক্তিক ছিল। তবে, 1.2613 লেভেলের কাছাকাছি গঠিত একটি মাত্র বাই সিগন্যাল লোকসান করায়নি। এর পর থেকে শুধুমাত্র সেল সিগন্যাল গঠিত হয়, যেগুলো লাভজনক ছিল। এর ফলে, বেশ উল্লেখযোগ্য মুনাফার সাথে দৈনিক ট্রেডিং সেশন শেষ হয়।
ঘণ্টাভিত্তিক টাইমফ্রেমে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন সম্পন্ন হয়েছে। আমরা মধ্যমেয়াদে পাউন্ডের দরপতনের সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি, কারণ আমাদের মতে এটিই একমাত্র যৌক্তিক ফলাফল বলে মনে হয়। তবে, এটি মনে রাখা উচিত যে, দরপতনের ক্ষেত্রে পাউন্ড স্টার্লিং মার্কিন ডলারের বিপরীতে উচ্চ প্রতিরোধ প্রদর্শন করে। সুতরাং, আরও দরপতনের প্রত্যাশা করা হলেও, ট্রেডারদের টেকনিক্যাল সিগন্যালের উপর নির্ভর করা উচিত। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এবং ফেডের বৈঠকের ফলাফল এই পেয়ারের মূল্যের অব্যাহত নিম্নমুখী মুভমেন্টের সম্ভাবনা নির্দেশ করছে।
শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। যদিও একটি নতুন কারেকটিভ ওয়েভের সম্ভাবনা রয়েছে, ফলে 1.2387 লক্ষ্যমাত্রার দিকে দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
5-মিনিট টাইমফ্রেমে ট্রেডিংয়ের জন্য বিবেচ্য লেভেলগুলো হল, 1.2387, 1.2445, 1.2502-1.2508, 1.2547, 1.2633, 1.2680-1.2685, 1.2723, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993।
শুক্রবার যুক্তরাজ্যে রিটেইল সেলস বা খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা মার্কেটে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলে মনে হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চারটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে যা গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়, তবে এর মধ্যে PCE সূচক এবং কনজিউমার সেন্টিমেন্ট সূচক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
1) সিগন্যালের শক্তি: সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) ভুল সিগন্যাল: যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেট: ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ট্রেডিং টাইমফ্রেম: ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) MACD সূচকের সিগন্যাল: প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) কাছাকাছি লেভেল: যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) স্টপ লস: মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।