আরও দেখুন
যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচের দিকে যেতে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0511 এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা ইউরো বিক্রির একটি সঠিক এন্ট্রি পয়েন্ট নিশ্চিত করেছিল। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য প্রায় ১৭ পিপস কমে গিয়েছিল, তারপর ইউরোর ওপর চাপ কমে আসে।
আজকের দিনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, এবং তার কারণ হল:
প্রথমত, ইউরোজোনের পরিষেবা কার্যক্রম সম্পর্কিত প্রতিবেদনের দিকে বিনিয়োগকারীদের নজর থাকবে। পরিষেবা সংক্রান্ত PMI, যা এই খাতের পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটায়, দুর্বল হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, যা ইউরোর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। কম্পোজিট PMI, যা উৎপাদন এবং পরিষেবা খাতের পরিসংখ্যান একত্রিত করে, এটিও ট্রেডারদের হতাশ করতে পারে। উৎপাদন খাতের কার্যক্রম নিম্নমুখী হওয়ার প্রেক্ষাপটে, অনেক অর্থনীতিবিদ সামগ্রিকভাবে এই সূচকের সম্ভাব্য পতনের পূর্বাভাস দিয়েছেন, যা ইউরোর জন্য অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করবে।
PPI বা উৎপাদন মূল্য সূচক মাঝারি বৃদ্ধি দেখাতে থাকলেও, এটি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (ECB) সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে। প্রত্যাশিত সুদের হার হ্রাসের পরেও, মুদ্রাস্ফীতির বৃদ্ধি ইসিবির আর্থিক নীতিমালার ক্ষেত্রে পরস্পরবিরোধী পরিস্থিতি সৃষ্টি করে, যা মার্কেটে স্থিতিশীলতার পথে একটি সম্ভাব্য বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে। আসন্ন প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল হতাশাজনক হলে সেটি ইউরোর উপর উল্লেখযোগ্য চাপ সৃষ্টি করতে পারে এবং ইউরোজোনের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অনিশ্চয়তা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
ইউরোজোনের অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিবেচনায়, ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডের মন্তব্য ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। বিনিয়োগকারীরা জানতে আগ্রহী যে, ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধীরগতির মোকাবিলায় কী কৌশল গ্রহণ করবে। যদি লাগার্ড আরও আক্রমণাত্মকভাবে সুদের হার হ্রাসের পক্ষে কথা বলেন, তবে এটি ইউরোর দরপতন ঘটাতে পারে। কম সুদের হার সাধারণত মুদ্রার মান দুর্বল করে, যা রপ্তানি বাড়াতে পারে। তবে, এই পদ্ধতির একটি উদ্বেগ হল, নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্রুতই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) দেশগুলোর ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করতে পারেন।
আজ প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনের যেকোনো নেতিবাচক ফলাফল দ্রুত ইউরোর উপর চাপ বাড়িয়ে তুলতে পারে। দৈনিক কৌশলের ক্ষেত্রে, আমি পরিকল্পনা #1 এবং #2 বাস্তবায়নের উপর মনোযোগ দেব।
আজ যখন মূল্য 1.0563-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রায় 1.0529-এর (চার্টে সবুজ লাইন দ্বারা চিহ্নিত) লেভেলে পৌঁছাবে, তখন আপনি ইউরো কিনতে পারেন। মূল্য 1.0563 পয়েন্টে গেলে, আমি মার্কেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি এবং এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে 30-35 পিপসের মুভমেন্টের উপর নির্ভর করে বিপরীত দিকে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। দিনের প্রথমার্ধে সামষ্টিক প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল প্রকাশিত হলে ইউরোর দর বৃদ্ধির আশা করা যায়।
গুরুত্বপূর্ণ: কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0511-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো কিনতে যাচ্ছি। এটি সম্ভবত এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী করবে। আমরা 1.0529 এবং 1.0563-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি৷
EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0511-এর লেভেলে (চার্টে লাল লাইন) পৌঁছানোর পরে ইউরো বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0484-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি মার্কেট থেকে বের হয়ে অবিলম্বে বিপরীত দিকে ইউরোর লং পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (এই লেভেল থেকে 20-25 পিপস বিপরীতমুখী মুভমেন্টের আশা করছি)। যেকোন মুহূর্তে এই পেয়ারের উপর চাপ ফিরে আসতে পারে, তাই যতটা সম্ভব মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় এই পেয়ার বিক্রি করা উচিত হবে।
গুরুত্বপূর্ণ: বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.0529-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ ইউরো বিক্রি করতে যাচ্ছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী করবে। আমরা 1.0511 এবং 1.0484-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি৷